বাক্ ১৪১ ।। পাতালপ্রমাণ কবিতা
একে অপরের দিকে ঝুঁকে থাকো
ওইদিকে কিছু বাচ্চা লোক
বাজনার সেই গায়ে হাত রাখে
যেখানে নাড়ির টানে অপেক্ষার গান
এইভাবে লিখে রাখা দৃশ্যময়
নিরন্তর বদলে যাওয়া পেটে
চুমু খাওয়া হয়ে গেলে শুরু করা যায়
শান্তির অথই জলে জিভের অতিথি...
***
১.
ঘাম ঝরেছিল শ্রমে
যেমতি সময়খেকো মুখের ফিকির
সুতো কাটাকুটি মগ্ন
একা কাঁদে ভাড়াটের নিয়তি হাতড়ে
কান্না একাই হয়, সেই সুখে ভাগ হবে নাকো
বাকি যা যা, ভিড় ঠেলে হেসে ওঠা ক্রমে
২.
অগণিত দুই হাত
বসে থাকে আকাশে তাকিয়ে, যথা
বিল বেড়ে যাবে বলে সংক্ষিপ্ত হয়েছে মধুমোহ
বাধা না পেলে কি ডাক ফিরে আসে
যতেক হাসিছে আলো ডঙ্কাডাকে
পাত্রশূন্য ভাত
৩.
এইবেলা তোরঙ্গ খুলেছে
হৃদয়বিদীর্ণ হট্টগোল
কেঁচোর যেমন কাজ, একমনে মাটি নিয়ে খ্যালে
পুঁজির ঘোলাটে চোখ চেয়ে থাকে
মানুষের সব ভাষা তাহাকেই কেন্দ্রে রাখিয়াছে
খ্যাপা একা কী যেন ভুলেছে
হৃদয়বিদীর্ণ হট্টগোল
কেঁচোর যেমন কাজ, একমনে মাটি নিয়ে খ্যালে
পুঁজির ঘোলাটে চোখ চেয়ে থাকে
মানুষের সব ভাষা তাহাকেই কেন্দ্রে রাখিয়াছে
খ্যাপা একা কী যেন ভুলেছে
৪.
একটি সবল মাছ জল টের পেয়ে
পায়চারি করে দূর থেকে
আনাগোনা ঘটে, উপক্রম হতে হতে
কেটে যায় মাঘ। বাঘের পায়ের ছাপ
ঢেকে দ্যায় চৈত্রপাতা এসে।
৫.
বিনয়ের দিনশেষে হলুদ পাতারা একা হাসে
আশিভাগ বিষণ্ন আবহে
একটি সক্রিয় ঠোঁট মনে থাকে পুরা দেয়ালের গায়ে যেমতি বীজ, জেগে থাকে ক্রমে
বিবিধ প্রাকৃতে
***
একে অন্যের থেকে দূরে থাকো
এইদিকে তবু কিছু বীণ অভিজ্ঞতা
গতরের সেই অঙ্গে দিয়ে রাখে হাতর প্রলেপ
যেখানে গানের জন্য সারারাত বসে থাকা যায়
সেইভাবে গেয়ে যাওয়া অদৃশ্য বাঁধনে
পটে-পটে গল্প ফুটে ওঠে, আর কত
ভয় পাওয়া হয়ে গেলে শুরু করা যায়
শান্তির অথই জলে বুকের বসতি...
No comments:
Post a Comment