ফেরদৌসী আক্তার

বাক্‌ ১৪১ ।। 


বর্তমান

অন্ন মানুষের চেয়ে ভারী বস্তু, 
সংকীর্ণ সূতা ও দাঁতের ব্যবধান।
রাজপথ জুড়ে বেশ্যার পদধ্বনি,
ভোগের যোনিতে মানুষ মৃত্যুর সন্তান।
লও; পান করো,
আমি পদদলিত মায়ের বিধ্বস্ত স্তন।



লেখো

হিমাদ্রী!
ধরো ক্যাচ,
আমি মরে যাচ্ছি... তুমি লিখছ...
দুই হাজার বিশ, কোভিড নাইনটিন ব্যাচ।

ধর্মকীর্তি রোধের এক উইপোকা
মরে পড়ে আছে ;
রূপালী মেয়র মহল পাশে নাচছে,
বাজারে ছুড়ে মায়া সভ্যতার ইতিহাস।

তুমি লিখছ... লিখছ...
সভ্যতা ও বিজ্ঞানের সঙ্গম রস,
লিখছো... লিখছো...
পৃথিবীময় মানুষে মানুষে বসবাস।

তিমিরাবৃতা

আয়নার সামনে তুমি ভেড়া;
জানে ইতিহাস।
দরিদ্রের মৃত্যুমিছিলে
তোমার লিঙ্গ নাড়ানোই প্রয়াস।
তবু সিদ্ধ হও না;
দর্শনে খড়ের মাঠ।
শালা ভিখারি লাগে,
পৃথিবীতে প্রেমের সাক্ষী কেবল
প্রেমিকের নটি স্ক্রিনশট।




বিরহ

জন্ম বৃথা যায়,
বিজ্ঞান বড় সেক্সি আজ
পুঁজির দরজায়।

প্রজন্মান্তরে ত্যানা সমগ্র,  জানি
প্রত্যেক মা ই ফাটা নিরোধ ;
সেক্সের সময়।

তা বলে এত নিলাজ!
মায়ের নেংটি কেটে কেউ মাস্ক বানায়?





বিজ্ঞান ভুল করতে পারে না

বিজ্ঞান ভুল করতে পারে না
সানন্দে তাই বুক পেতেছি,
আমন্ত্রণ...!
তোমার স্পর্শে আমি বিলুপ্ত সোনা।

স্যালুট!
পোভার্টির নাড় পেঁচানো পাপমোচনে
 দ্বিতীয় প্রমিথিউসের অবতারণা।
ভাগ করো পৃথিবী, এত অতশত না,
টু ইন ওয়ান;
বিয়াল্লিশ ও একশো আশি।
বিধাতা মাস্ক কাভার্ড
আমাদের কোভিড নাইনটিন ফাঁসি।

1 comment: