নিনাদের শহরে আমি ঘুরি একা—
করতে চাইছি না এমন গল্প যা দৃশ্য আড়ালেই হয়ে উঠে অদৃশ্য
এবার তবে বলা হোক ক্ষতের কথা; অতলান্ত আকাঙ্ক্ষার গল্প
খোয়াবের বিলাসিতা কিংবা একা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের শোকগাথা
তুমি কখনও দেখেছো— বৃক্ষ
জন্মাচ্ছে মাটি ছেড়ে প্রস্তরে?
একা হেঁটে হেঁটে আমি
দেখেছি— রোদের ঔরস জুড়ে হাহাকার; পুড়ানোর অহঙ্কারের পাশে উজ্জ্বলতম
নক্ষত্রের মতো ফুটে আছে দগ্ধ হতে না পারার দুঃখ।
দেখেছি— কত কত বাতাসের বুক জুড়ে প্রলাপের সংসার;
আর্দ্রতর জীবনের পাশে চন্দ্রের মতো শোভিত হয়ে ফুটে
আছে শুকাতে না পারার যন্ত্রণা।
দেখেছি— হারিয়ে ফেলা যৌবনে ফিরে যাওয়ার প্রার্থনায় অগণিত কাল দাঁড়িয়ে থাকতে
বৃক্ষকে মাটি আঁকড়ে ধরে রোদের মুখোমুখি।
দেখেছি— ভীষণ উচ্ছন্নপ্রেমী পুরুষকে হাতে হৃৎপিণ্ড নিয়ে হাঁসফাঁস করতে প্রেমিকার
বুকে নাক ডুবিয়ে সুন্দরতম জীবনের আকাঙ্ক্ষায়।
দেখেছি— বুকজুড়ে সুখ নিয়েও মাতালের মতো রাস্তায় রাস্তায় গল্প করে যেতে বাদামি
রঙের পুরুষকে এক নোকতা বিষাদের গরল পিপাসায়।
একা হেঁটে যেতে যেতে আমি
পড়েছি— মানুষের মুখ ও মুখোশের হাহুতাশ; মেপেছি জন্মের পরিধি; রক্তের যৌবন কিংবা এক লোকমা বিমুগ্ধ বিষণ্নতা ও
উচ্চতা।
পড়েছি— বিচ্ছেদ ও ভাঙনের নৃশংসতা; খুঁড়েছি মৃত্যুর কবর ও
ভবিষ্যত; আগুনের পরশ কিংবা কম্পিত আত্মার অমোঘ নিয়তি।
দীর্ঘ পথ ভ্রমণের পর আমি
জেনেছি— নিনাদের শহরে আমি ভীষণ একা।
আরবকটু এগিয়ে এলেই দেখা হবে নিশ্চিত। শরীরের সাথে যেমন হাত পা মাথার আলাদা আলাদা দেখা হয়।
ReplyDelete