বাক্ ১৪১ ।। ব্রহ্মাণ্ডে
শীতের রাত্রিতে এমন একদল যুবকের সঙ্গে
তোমার দেখা হতে পারে, যারা হঠাৎ কুয়াশা
ফুঁড়ে মাঠ থেকে উঠে এসেছে
তুমি এদের শিশির, শীতল, বাতাস যে নামেই ডাকো না কেন,
ওরা হাসতে হাসতে চলে যাবে
তাদের বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
গাছে গাছে নানা রঙের কুঁড়ি
ফুটি-ফুটি করছে
হঠাৎ জোছনার ভেতর
বিষণ্ণ স্ট্রিটলাইটের তলায় মনে হতে পারে
এইমাত্র এরা মাতৃগর্ভ থেকে বের হয়েছে
এরা আসলে এক-একটি বড়ো শুক্রাণু
তখন চোখমুখ ছিল না, পা ছিল না
এখন সবেমাত্র ল্যাজ খসেছে
বহুদূর যাবে এরা
শীতের রাতে এদের দেখে দেখে তোমার মনে হতে পারে
এই ব্রহ্মাণ্ডে
তুমিও একটি শুক্রাণু ছাড়া কিছু নও
তুমিও এদের মতন আর-একটি বৃহৎ মাতৃগর্ভে আছো
জন্ম হয়নি
এদের মতো তুমিও হয়তো পথ পাচ্ছ না
অন্ধ হস্তপদহীন
ঘুরে বেড়াচ্ছ কুয়াশার অস্পষ্ট ধূসরতায়
একদিন মাঠ ফুঁড়ে পেয়ে যাবে বেরিয়ে যাবার গোপন করিডোর
গাছে গাছে কোকিলের ডাক
আর-একটি নতুন জন্মের দিকে এই দ্বৈরথ
স্ট্রিটলাইটহীন অস্পষ্ট পথ ধরে তোমাকে যেতে হবে কতটা দূর
তুমি নিজেও জানো না
No comments:
Post a Comment