প্রীতম বসাক


বাক্‌ ১৪১ ।। দুঃখের কবিতা



১. 

দুঃখিত মানুষের মতো করে কেউ বোঝে না গাছেদের দাম্পত্য  

ভাতের ধোঁয়া থেকে গ্রীষ্ম ওঠার সময়
গরীবের ঠাকুর গলে নুন হয়ে যান 

আমাদের দস্তানায় লেগে থাকে নিভু নিভু শূন্যতা 
সেই স্পেস পূরণ করতে চা বসাই, ভাপ দি ঠোঁটে 

আমি চুপিচুপি পাখিদের ঘুম ভাঙাই, পুষ্ট করি
রেখে আসি প্রার্থনাবোধ রেনগজ

একটা গাছকে দীর্ঘায়ু  করার জন্য আমি মাটির আশ্চর্য  শিখি

২.

কোনো দৃশ্যের রিমেক হয় না  
অনন্ত হাঁটা লেগে থাকে অন্ধের পায়ে

আমাকে তুমি লিখেছিলে পাহাড় ও বৃক্ষরস
আর আমি ইনস্টল করছিলাম পাখিবাচক হতাশা

মনে করো বল করার আগেই আমার খুব খিদে পেল
চোখের ডালে ভেসে উঠল বাবার আধখাওয়া মুখ

কাকে বলবে তুমি আসলে 
হাঁসের নরমে বিবাহ হতে চেয়েছিলে   

ধানের কুসুমে তুমি 
ফেলে এসেছিলে পাখিদের হোটেল
অস্ফুট  স্তনের দাগ 

৩.

অসুস্থ মেঘেদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর
আমি হেঁটে যাই কৃষকের আসবাব নিয়ে

গাছের স্ক্রিন থেকে বৃষ্টি খুলে নিচ্ছে কেউ
নিভে যাচ্ছে ঠোঁটের বিশেষণ

এত যে ওষুধ পেতে বসে আছো, ঘুমের সিরাপ
কে কিনে নেবে অনালোচিত দুঃখগুলো

সব বন্ধু অনন্ত মেখে চলে যাচ্ছে
ফুটে উঠছে মানুষের করুণ বিশ্রাম

মুরিদের ব্যর্থতা থেকে হে নরম হাসির নার্স
আমি সাদাকালো জীবন  তুলে রাখছি
আপাতত দিয়ে মাখছি ভাতের করোটি

৪.

নিজের ভুলের মসজিদে দাঁড়াতে পারে না যে ফকির
তার জন্য পেতে রেখো তোমার অশ্রুপিঁড়ি

পাখিবাজার থেকে আমি শুশ্রূষা কিনেছিলাম একদিন 
জেনেছিলাম মানুষের ঠোঁটের ঘটনাসমূহ 
আসলে ঘুম ফুটিয়ে তুলতে যেসব কৃষিবীজ লাগে
খুব জ্বরে তারা নিজেদের নাম ভুলে গেছে

অসহ্য বৃষ্টির দিনে কোন কোন মানুষ মওলানা হয়
আর স্ত্রীর প্রেমিকের জন্য চা বানিয়ে আনে

এই গল্পে যেটুকু নামাজ রাখা আছে আয়াত
সেখানে পৌঁছাতে আমাদের আরব ফেটে যায় প্রভু

3 comments: